Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিটিজেন চার্টার

ভুমিকাঃস্থানীয় সরকার, পল্লী ‍উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয়সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মূল কাজ হচ্ছে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন। আর গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যতিত সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বিধায় এলজিইডি  উপজেলার  সড়ক উন্নয়ন ও মেরামত, ব্রীজ , কালভার্ট, ইউপি কমপেস্নক্স ভবন ও মহিলা মার্কেট নির্মান , গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন কাজ করে থাকে । এছাড়াও (RERMP)মহিলাক্রুদের (প্রতি ইউনিয়নে ১০ জন) দ্বারা রাস্তা মেরামত ও বৃক্ষরোপণ এবং কর্মকালীন সময়ে সঞ্চয়কৃত অর্থ দ্বারা  সাবলম্বী হওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান  এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান,পুনঃ নির্মান (আসবাবপত্র সরবরাহ সহ),মেরামত কাজ, উপজেলা রাজস্ব তহবিল ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন সহস্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমুহকেসকল উন্নয়ন কাজের কারিগরী সহায়তা প্রদান, পল্লী ও শহরাঞ্চলের অবকাঠামো ‍উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদউন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ‍আর্থসামাজিক অবস্থার ‍উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে।একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে গ্রামীন এলাকার যোগাযোগঅবকাঠামো ছিল অত্যন্ত নাজুক । আজ এলজিইডির মাধ্যমে ব্যাপক ‍উন্নয়ন কর্মকান্ডেরমাধ্যমে দেশের সবর্ত্র গ্রামীণ যোগাযোগের ক্ষে‌ত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।আজ গ্রামের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণ ও পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষকদের উৎপাদিতপন্যের ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে।এছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণ ওদারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে সরকারের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে ও এলজিইডি গুরুত্বপূর্নভুমিকা পালন করছে।বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থয়নে ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায়এলজিইডি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

সিটিজেন চার্টার হল জনগণের সেবা পাওয়ার অধিকারের লিখিতসনদএর মাধ্যমে জনসাধারণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিদ্যমান সেবাসমুহের মান উন্নয়নেরসুযোগ সৃষ্টি হয় । সিটিজেন চার্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহনকারিদের যথাসময়ে সেবা প্রদাননিশ্চিতকরা হয়। সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রশাসনেরগতিশীলতা বৃদ্ধি পায় ।সিটিজেন চার্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর মধ্যেপারস্পরিক আস্হা বৃদ্ধি পায় ।

এলজিইডি’র মূখ্য দায়িত্বাবলীঃ

·         পল্লী ও নগর অঞ্চলে ‍অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ওপরিবীক্ষণ;

·         পল্লী অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ;

·         গ্রোথসেন্টার/হাটবাজার উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ;

·         ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ ও পৌরসভাকে কারিগরী সহায়তা প্রদান;

·         ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা প্লানবুক, ম্যাপিং ও সড়ক এবং সামাজিক অবকাঠামোর ডাটাবেজ প্রস্তুতকরণ;

·         ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ;

·         বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ;

·         জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী, ঠিকাদার, চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদলসমূহের সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেপ্রশিক্ষণ;

·         ডিজাইন ও অন্যান্য কারিগরী মডেল, ম্যানুয়েল ও স্পেসিফিকেশন প্রণয়ন;

·         এলজিইডি’র কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি;

এলজিইডি’র খাতওয়ারী প্রধান প্রধান কর্মকান্ডঃ

গ্রামীণ অবকাঠামোঃ

  • সড়ক নির্মান/পুননির্মাণ/ পুর্নবাসন
  • ব্রিজ/ কালভার্ট নির্মাণ/ পুননির্মাণ
  • গ্রোথ সেন্টার/হাট বাজার উন্নয়ন
  • ঘাট/জেটি নির্মাণ
  • ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ
  • উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ/পুননির্মাণ
  • ঘূর্নিঝড়/বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ/পুননির্মাণ
  • বৃক্ষরোপন কর্মসূচী
  • ক্ষুদ্র-ঋন কর্মসূচী
  • কৃষি, মৎস্য ও পশু সম্পদ উন্নয়ন
  • অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ

নগর অবকাঠামোঃ

  • সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ/ পুননির্মাণ
  • নর্দমা নির্মাণ/ পুননির্মাণ
  • বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ
  • বাজার উন্নয়ন
  • টাউন সেন্টার নির্মাণ
  • স্যানেটারী ল্যাট্রিন নির্মাণ
  • টিউবওয়েল স্থাপন
  • ক্ষুদ্র-ঋন কর্মসূচী
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
  • বস্তি উন্নয়ন কার্যক্রম
  • নগর পরিচালনা উন্নতিকরণ
  • দারিদ্র বিমোচন
  • নগর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি

 

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়নঃ

  • বাঁধ নির্মাণ
  • স্লুইচ গেট নির্মাণ
  • রাবার ড্যাম নির্মাণ
  • খাল খনন ও পুনঃখনন
  • বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বাঁধ নির্মাণ/ পুননির্মাণ
  • স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতিকে (পাবসস) বিভিন্ন কারিগরী ও জীবিকা উন্নয়নেসহায়তা প্রদান

 

এলজিইডি’র প্রশাসনিক স্তরঃ

এলজিইডি’র বিস্তৃত কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত উপায়ে প্রশাসনিক নেটওয়ার্কসারাদেশে বিস্তৃত আছে

§         এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী দাপ্তরিক প্রধান হিসাবে ‍আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭অবস্হিত সদর দপ্তরে এলজিইডি দপ্তর পরিচালনা করছেন। তাছাড়া সদর দপ্তরে ৪জন অতিরিক্তপ্রধান প্রকৌশলী, ৭জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ১৭জন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মোট ১৪৬জন কর্মকর্তাকর্মচারী বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত আছেন ৷ সদর দপ্তরে এলজিইডি’র কর্মকান্ড নিম্নবর্ণিতইউনিটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকেঃ

·         প্রশাসন

·         পরিকল্পনা

·         ডিজাইন

·         সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্হাপনা (IWRM)

·         পরিবেশ ব্যবস্হাপনা

·         মনিটরিং ও মূল্যায়ন

·         ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (MIS)

·         জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম)

·         নগর ব্যবস্হাপনা

·         মাননিয়ন্ত্রণ

·         প্রশিক্ষণ

·         রক্ষনাবেক্ষণ ব্যবস্হাপনা

·         সড়ক নিরাপত্তা

·         ক্রয় কাযর্ক্রম (Procurement)

·         তথ্য ইউনিট

§         এলজিইডি’র কর্মকান্ড সারাদেশে ১০টি অঞ্চল যেমন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং ফরিদপুর ‍অঞ্চলের মাধ্যমে বিস্তৃত৷ প্রতিটিঅঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী । প্রতিটি অঞ্চলে তত্ত্বাবধায়কপ্রকৌশলীর অধীন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলীসহ মোট ৮জন কর্মকর্তা কর্মচারীরয়েছেন-যারা অঞ্চলের আওতাভূক্ত জেলার ন্যস্ত প্রশাসনিক দায়িত্বসহ এলজিইডি’র কর্মকান্ডমনিটরিং ও তদারকী করে থাকেন;

 

§         ৬৪টি জেলার প্রতিটি জেলা সদরে নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ২জন সহকারী প্রকৌশলীসহ মোট১৩জন কর্মকর্তা/কর্মচারী জেলার সকল এলজিইডি’র কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন । তাছাড়া বৃহত্তরজেলায় ১জন মেকানিক্যাল প্রকৌশলী রয়েছেন;

 

§         ৪৮২ টি উপজেলার প্রতিটিতে উপজেলা প্রকৌশলীর নেতৃত্বে সহকারী উপজেলা প্রকৌশলীসহ মোট১৯জন কর্মকর্তা/কর্মচারী উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্মকান্ড ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকান্ডপরিচালনাসহ এলজিইডি’র কার্মকান্ড পরিকল্পনা ও তদারকারীতে নিবার্হী প্রকৌশলীকে সহযোগীতাকরে থাকেন।